শেয়ার মার্কেটএ কীভাবে কাজ করতে হয়| শেয়ার বাজার থেকে আসলেই কী অর্থ আয় করা সম্ভব |

শেয়ার মার্কেটএ কীভাবে কাজ করতে হয়| শেয়ার বাজার থেকে আসলেই কী অর্থ আয় করা সম্ভব |

শেয়ার মার্কেট বিজনেস আসলে কি?

শেয়ার বাজারের নিয়ম গুলো সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে অনেক ওয়েবসাইটে ঘুরতে হয়।
যদিওবা আপনি চাইলেই আজকের আমার এই পোস্টএ

  1. শেয়ার মার্কেট কি?
  2. শেয়ার মার্কেটে নিয়মকানুনগুলো কি কি?
  3. সম্পর্কে পুরোপুরি ধারণা নিতে পারবেন।
বন্ধুরা আমি নীরব ইসলাম ৷ চলুন শুরু করা যাক পষ্টটি ৷

শেয়ার মার্কেট আসলেই কি জিনিস ?

শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে জানতে হলে প্রথমত আপনাকে অবশ্যই ৫টি ধারনা থাকতে হবে ৷
বিষয়গুলো হলো নিম্মরুপ:
  1. ▪ কোম্পানির সম্পর্কে ধারনা
  2. ▪ IPO সম্পর্কে ধারনা
  3. ▪ স্টক এক্সচেঞ্জ সম্পর্কে ধারনা
  4. ▪ সেকেন্ডারি মার্কেট সম্পর্কে ধারনা
  5. ▪ ইন্ডেক্স বা সূচক সম্পর্কে ধারনা

কোম্পানির সম্পর্কে ধারনাঃ

প্রথমে আপনাকে আপনি যার সঙ্গে বিজনেস করতে চাচ্ছেন ঐ কোম্পানির নাম সিলেক্ট করতে হয়।
তবে এখানে এই বিষয়টি অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে যে আপনি কখনোই এককভাবে কোনো কোম্পানির তৈরি করতে পারবেন না কনোদিন ৷ বলতে একাই একশ হতে পারবেন না ৷
এক্ষেত্রে আপনাকে কমপক্ষে দুইজন থেকে সর্বোচ্চ 50 জন নিয়ে একটি কোম্পানি তৈরি করতে পারেন বা করতে হবে ।
এছাড়াও আপনার কোম্পানীর জন্য একটি ছাড়পত্র বি সার্টির্ফিকেট অথবা নাত্রিসেন্স নিতে হবে অর্থাৎ আপনাকে এটা প্রমাণ করতে হবে যে আপনার আর অন্য কোন কোম্পানি নেই এটা একটা টার্ম এন্ড কন্ডিশন্স ৷
এটা যখন নিশ্চিত হবে যে আপনার আর অন্য কোম্পানি নেই সে হিসেবে কোম্পানির জীবন বৃত্তান্ত করতে পারবেন।
এরপর আপনার কোম্পানির কাজের ধারা বর্ণনা করতে হবে বিভিন্ন ভাবে অর্থাৎ কোন কোন কাজে আপনার কোম্পানি ইনভেস্ট করবে কত পারসেন্ট ইনভেস্ট করবে সহ আরো নানা যাবতীয় বিষয়গুলো দিকে লক্ষ রাখতে হবে ৷
এরপরে আপনাকে কয়েকটি বিষয় অবশ্যই বর্ণনা করতে হবে যে আপনি আপনার কোম্পানিটে সর্বনিম্ন কত টাকা অব্দি ইনভেস্ট করতে পারবেন এবং করেছেন ৷
এবং সর্বোচ্চ কত টাকা ইনভেস্ট করতে পারবেন আপনার কোম্পানিতে যাকে বলা হয় অথরাইজড ক্যাপিটাল পলেসি ৷

IPO:

উকিপিডিয়ার মতে

"আপনি যদি আপনার ব্যাংক থেকে 10 পার্সেন্ট টাকা উঠাতে চান এবং এটা বাজারে ছেড়ে দেন তাহলে এতে যদি কোন সাধারণ ভুক্তভোগী গ্রহণ করে তাহলে এটাকে বলা হয় IPO ?"

অথ্যাৎ সংক্ষপে বলা যায়ঃ "Initial Public offering"
তবে বিষয়টা এরকম না যে আপনি আজকেই চাইছেন আর আজকে টাকাগুলো উঠাতে পারবেন ঠিক একিরকম ভাবে। এটি সাধারণত ছয় মাস থেকে তিন বছর অব্দি লেগে যেতে পারে বা তার অধিক সময় ও লেগে যেতে পারে।

যখন তারা এটা বলবে যে আপনি আইপিও ছাড়ার জন্য উপযুক্ত তখনই আপনি আইপিও ছাড়তে পারবেন এবং বিজনেস এ সফল হতে শুরু করবেন।

স্টক এক্সচেঞ্জ:

স্টক এক্সচেঞ্জ  একদা ছিল বিভিন্ন কোম্পানির ‘স্টক’ ব্যবসার কেন্দ্রর মূলবিন্দু হিসেবে ধরা হয় । কিন্তু বর্তমানে স্টক এক্সচেঞরা সাধারনত কম্পিউটার নির্ভর স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাসম্পন্ন শেয়ার ব্যবসার একটি সহায়ক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়েছে বলা কলে একটু আরকি ৷

সেকেন্ডারি মার্কেট:

সেকেন্ডারি মার্কেট সাধারণত একটি অর্থনৈতিক অবস্থা পরিমাপের সাহায্য করে আসছে
এটি শেয়ার বাজারের দাম বৃদ্ধি কিংবা কমে যাওয়ার ইশারা-ইঙ্গিত করে থাকে অবশ্যই।
এর মাধ্যমে স্টক সহজেই বিক্রয় এবং ক্রয় করা যায় বিভিন্ন মাধ্যমে ৷
তাহলে আশা করা যায় শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে আপনি যথাযথ ধারণা পেয়েছেন যা আপনি আগে জানতেন না এবং জানবেনও না ৷

শেয়ার মার্কেটে নিয়ম কানুনঃ

যেকোনো কিছু ব্যবহারের কিছু নির্দিষ্ট নিয়মকানুন রয়েছে তেমনি শেয়ার মার্কেটের নিয়ম-কানুন রয়েছে অবশ্যই যা আপনাকে মেনে চলতে হবে ।
শেয়ার মার্কেটে প্রবেশ করতে হলে এগুলা মৎনা অবশ্যক।
  1. ▪ আপনাকে অবশ্যই বিশ্লেষণ করতে শিখতে হবে যে টাকা ইনভেস্ট বান্চনিয় ৷
  2. ▪ কোম্পানির হিসাব যাচাই করতে হবে এবং ধূলধন বৃদ্ধি বা হৃাস হতে পারে ৷
  3. ▪ শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে কোম্পানির মূলভিত্তি দেখে কিনা একল তথ্যা উপস্থাপন করতে হবে ৷
  4. ▪ EPS দেখুন যাদের নেট অ্যাসেট ভ্যালু বেশি তাদের প্রধ্যান্য বেশি।
  5. ▪ মোট শেয়ারের সংখ্যা দেখুন আর দেখুন এটি কতজন পাবলিকের হাতে হবে অবশ্যই ৷
  6. ▪ যেকোনো ধরনের গুজব এড়িয়ে চলতে হবে গুজবে কান দিলে চলবে না এচা বান্চনিয় ৷
বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই ভালো থাকুন ৷

0 Comments